যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি থেকে আরেক নেতার পদত্যাগ
যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য ঘোষিত কমিটি থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক সজীব হোসেন পদত্যাগ করেছেন। কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে তিনি পদত্যাগ করেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সজীব। তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এর আগে ২৬ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে যশোর জেলা কমিটি প্রকাশ করা হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল আগামী ছয় মাসের জন্য ওই কমিটি অনুমোদন করেন। কমিটি ঘোষণার পরদিন ২৭ নভেম্বর আহ্বায়কসহ কমিটির অনেকের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ তুলে যুগ্ম আহ্বায়ক-১-এর পদ থেকে পদত্যাগ করেন মাসুম বিল্লাহ।
ঘোষিত যশোর জেলার কমিটিতে রাশেদ খানকে আহ্বায়ক, জেসিনা মুর্শিদকে (প্রাপ্তি) সদস্যসচিব, আবদুল্লাহ আল মামুনকে মুখ্য সংগঠক ও ফাহিম আল-ফাত্তাহকে মুখপাত্র করা হয়। তাঁরা সবাই যশোর সদরের বাসিন্দা। কমিটিতে ১১ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ১২ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ৮ জনকে সংগঠক ও ৭৯ জনকে সদস্য করা হয়।
পদত্যাগপত্রে সজীব হোসেন উল্লেখ করেন, ‘২৬ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের কমিটি ঘোষণা করা হয়, যেখানে চরম বৈষম্যের স্বীকার হয়েছেন ছাত্র-জনতা। আজকের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু আমরা নিজেরাই ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন করছি, যা আমাদের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানির শামিল।’
সজীব হোসেন বলেন, ‘যারা এই শহরে সরাসরি ছাত্রলীগের সভা-সমাবেশে যোগদান করেছে। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাদের এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। অথচ যারা এই বিপ্লবের সঙ্গে সরাসরি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, এমন অনেককে কমিটিতে রাখা হয়নি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ে যশোরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন রাশেদ খান ও অন্য ভাগের নেতৃত্বে ছিলেন মাসুম বিল্লাহ। কমিটিতে মাসুম বিল্লাহর পক্ষের অনেকে পদবঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি। আবার যাঁরা পদ পেয়েছেন, তাঁরা কাঙ্ক্ষিত পদ পাননি। এসব কারণে কমিটির আরও অনেকের পদত্যাগের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।