খুলনায় কেএফসি ও বাটা শোরুমে ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের
খুলনায় কেএফসি রেস্টুরেন্ট এবং বাটা শোরুম ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার পর সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দুটি রেকর্ড করা হয়।
কেএফসি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলার বাদী হয়েছেন শাখা ব্যবস্থাপক সুজন মণ্ডল। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে। আর বাটার শোরুমে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা করেছেন শাখা ব্যবস্থাপক তাহেদুর রহমান। মামলায় আসামি করা হয়েছে এক হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ জনকে।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম গতকাল রাত সোয়া ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে দুটি মামলা হয়েছে। ডোমিনোজ পিৎজা রেস্টুরেন্ট ভাঙচুরের ঘটনায় আরেকটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। যে ৩০ জনকে আটক করে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে, তাঁদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এ ছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।
গত সোমবার খুলনা নগরের ময়লাপোতা এলাকায় অবস্থিত কেএফসি ও ডোমিনোজ পিৎজা এবং শিববাড়ী এলাকায় অবস্থিত বাটা শোরুমে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। কেএফসি ও ডোমিনোজ পিৎজা রেস্টুরেন্ট একই ভবনে অবস্থিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেলে নগরের শিববাড়ী মোড়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করা হয়। ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আয়োজিত মিছিলটি শিববাড়ী–ডাকবাংলো হয়ে হাদিসপার্কের দিকে চলে যায়।