নারায়ণগঞ্জে ব্যাটারি কারখানার পরিবেশদূষণের অভিযোগে বিক্ষোভ, ভাঙচুর

পরিবেশদূষণের অভিযোগে ব্যাটারি কারখানা বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লক্ষণখোলা এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি চীনা মালিকানাধীন ব্যাটারি কারখানার বিরুদ্ধে পরিবেশদূষণের অভিযোগে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় কারখানার লোকজন ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কারখানায় ভাঙচুর করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার লক্ষণখোলা এলাকায় ডংজিং লংজিভিটি নামের ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনায় দুই চীনা নাগরিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ডংজিং লংজিভিটি নামের ওই ব্যাটারি কারখানার নির্গত ধোঁয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ফজলুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী ব্যাটারি কারখানা বন্ধের দাবিতে মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কে অবরোধ করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী কারখানার সামনে জড়ো হলে কারখানার লোকজন বাধা দেন। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী কারখানার প্রধান ফটক, মোটরসাইকেল ও গ্লাস ভাঙচুর করেন। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থী, দুই চীনা নাগরিকসহ ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী জানান, ১৬ বছর আগে উপজেলার লক্ষণখোলা এলাকায় ডংজিং লংজিভিটি নামের ব্যাটারি কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানে ৪২ জন চীনা নাগরিকসহ ৪০০ শ্রমিক কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানটি লক্ষণখোলা ও পাতাকাটা আবাসিক এলাকায় হওয়ায় উৎপাদন শুরু হলে পরিবেশ দূষিত হয়। এতে ফজলুর রহমান উচ্চবিদ্যালয় ও দারুস সালাম হাফিজিয়া এতিমখানার শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। দূষণের কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের দাবি জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে বিভিন্ন সময় অভিযোগ জানালেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।  

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাটারি প্রতিষ্ঠানের দূষণ থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় কারখানার লোকজনের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। কারখানায় ভাঙচুরও হয়েছে। দুই চীনা নাগরিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান।