আশুগঞ্জে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তরুণকে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে হৃদয় মিয়া (২৫) নামের এক তরুণ খুন হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
হৃদয় মিয়া যাত্রাপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের বড় ছেলে। তিনি আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সির ভাগনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল আটটার দিকে হৃদয় মিয়াকে দুই তরুণ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হৃদয় মিয়ার বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাঁকে চিকিৎসকদের পরামর্শে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঢাকা নেওয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান। পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
হৃদয় মিয়ার মামা জাহাঙ্গীর মুন্সী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাগনেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। আমার ভাগনের পেটের দুই পাশে ও গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় চার থেকে পাঁচজন জড়িত থাকতে পারে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হানিফ মুন্সির ছোট ভাই জামাল মুন্সি প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে খুন হন। জামাল মুন্সি চরচারতলা ইউনিয়নের চারতলা গ্রামের বাসিন্দা।
+ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হৃদয় মিয়া খুন হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। হৃদয়ের পেট ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।