গণহত্যা দিবসে নির্দেশনা ভেঙে সাভারের বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার শিকার হয়েছিল বাংলার মানুষ। সেই কালরাত স্মরণে প্রতিবছর ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে সরকারের নেওয়া জাতীয় কর্মসূচি অনুযায়ী, ২৫ মার্চ কোনোভাবেই ভবন বা স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা যাবে না। তবে ঢাকার সাভারে এই নির্দেশনা না মেনে আজ সোমবার রাতে বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা দেখা গেছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সাভারের নবীনগর, রেডিও কলোনি, সাভার বাসস্ট্যান্ড, থানা স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বিপণিবিতান, রেস্তোরাঁ, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি হাসপাতাল ভবনে বাহারি রঙের আলোকবাতি জ্বলছে। সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের বিভাজক ও পদচারী–সেতুতেও আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। এর পর থেকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সারা দেশে রাত ১১টা থেকে ১ মিনিট ‘প্রতীকী ব্ল্যাকআউট’ পালন করা হয়। জাতীয় কর্মসূচি অনুযায়ী, এদিন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন বা স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা যাবে না। গণপূর্ত অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ বিভাগ, সিটি করপোরেশন, বেসরকারি ভবন মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।
আলোকসজ্জার বিষয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ডের বিপণিবিতান সিটি সেন্টারের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ওবায়দুর রহমান রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আশপাশের অনেকে আলোকসজ্জা করায় আমরাও করে ফেলেছি। অসচেতনতার কারণে এমনটি হয়েছে। এক্ষুনি বন্ধ করতে বলে দিচ্ছি।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌস ওয়াহিদ রাত ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক্ষুনি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’ পরে রাত ১১টার দিকে তিনি জানান, সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সব ভবন, স্থাপনাসহ অন্যান্য স্থানে আলোকসজ্জা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।