রাজশাহীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে মারধর, মাথায় ছয় সেলাই

মারধরের শিকার মো. নাজির হোসেনছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হকের এক সমর্থককে নৌকা প্রতীকের কার্যালয়ে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর তাঁকে চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চারঘাট উপজেলার সরদহ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তির নাম মো. নাজির হোসেন (৩৯)। তিনি সরদহ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাদিপুর গ্রামের ওয়াজ শেখের ছেলে। রাতে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হকের কাঁচি প্রতীকের প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন।

এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, চারঘাট সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার প্রণব কুমার ও চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, রাতে সরদহ বাজারের ট্রাফিক মোড়ে তাঁদের প্রচার-প্রচারণার কর্মসূচি ছিল। সেখানে অংশ নেন নাজির হোসেন। রাত ৯টার পর বাড়ি ফেরার পথে চারঘাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নৌকা প্রতীকের কার্যালয়ের সামনে তাঁকে থামানো হয়। পরে তাঁকে কার্যালয়ে নিয়ে মারধর করা হয়।

রাহেনুল হক আরও বলেন, নাজির হোসেনকে হাতুড়ি, রড ও চেয়ার দিয়ে পেটানো হয়। তাঁর মাথায় অনেক অংশে কেটে গেছে। ছয়টি সেলাই পড়েছে। এ ছাড়া শরীরের নানা জায়গায় আঘাত রয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই থানায় মামলা করা হবে।

মারধরের ঘটনায় চারঘাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড নৌকা প্রতীকের কার্যালয়ের সভাপতি মো. শামীম সরকার ও সরদহ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আদিলসহ কয়েকজন জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হকসহ তাঁর সমর্থকেরা।

এ বিষয়ে শামীম সরকার বলেন, তিনি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তাঁর এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারপরও যদি কেউ এটা করে থাকে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে মো. আদিল বলেন, তিনি সাড়ে ৯টার দিকে সরদহ বাজারে যান। সেখানে গিয়ে ভিড় দেখতে পান। দেখেন একজনকে মারধর করা হচ্ছে। তিনি ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। পরে জানতে পারেন, ওই ব্যক্তির নাম নাজির হোসেন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেছিলেন। এ কারণে নৌকার সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। পরে রাতেই রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চারঘাটে মারধরের বিষয়টি তাঁরা জানেন। একজনকে জখম করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হবে। কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।