নরসিংদীতে ‘মেরে সমান বানাতে চাওয়া’ ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার
নরসিংদীর মনোহরদীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে মারধরের হুমকি দেওয়া এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে গ্রেপ্তারের পর আজ বুধবার সকালে তাঁকে নরসিংদী আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম নাদিম মাহমুদ। তিনি মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এবং ওই ইউনিয়নের কেরানীনগর গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার রাতে দৌলতপুর ইউনিয়নের কোচেরচর বাজারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের পক্ষে কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভা হয়। সভায় ছাত্রলীগ নেতা নাদিম মাহমুদ বক্তব্য দেওয়ার একপর্যায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হুমকি দেন। তাঁর ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাসিদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হুমকি দিয়ে নাদিম মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের ভিতর থেকে যদি আপনারা বিরুর (মো. সাইফুল ইসলাম খান বিরু) নির্বাচন করেন, একদম সমান বানিয়ে ফেলব। যারা বিরুর নির্বাচন করবে আমাদের ভিতর থেকে, তাদের কিন্তু একজনেরও অস্তিত্ব থাকবে না।’ তাঁর এ বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভয়ভীতির সৃষ্টি করে। নাদিম মাহমুদের এ বক্তব্য নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব খাটানো ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে বিরত রাখার চেষ্টার শামিল, যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২–এর ৭৩ (২খ)/৮৪ ক-নম্বর ধারার অপরাধ।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা নাদিম মাহমুদকে গ্রেপ্তার আজ সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বদিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক একটি নির্বাচন উপহার দিতে চান। নির্বাচনী আচরণবিধিমালা ভঙ্গ করে কেউ বাধা দিতে চাইলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।