পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৪ হাজার টাকা করার দাবি

পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৪ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ। রোববার বিকেলে কাঁচপুর সেতুর নিচে
ছবি: প্রথম আলো

অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৪ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে শ্রমিক সমাবেশ করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখা। আজ রোববার বিকেলে কাঁচপুর সেতুর নিচে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখার সহসভাপতি আনোয়ার খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আবু নাঈম, বাসদের সোনারগাঁ উপজেলার সমন্বয়ক বেলায়েত হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের জেলা সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কাঁচপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কবীর, মিঠু, কামাল প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস পোশাক খাত। প্রতিবছর পোশাক খাতের রপ্তানি আয় বাড়ছে। দেশের মোট রপ্তানির ৮৩ শতাংশের বেশি আসে পোশাক খাত থেকে। সাড়ে ৩ হাজার কারখানায় ৪০ লাখ শ্রমিকের ঘামে এই পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি হচ্ছে। ইতিমধ্যে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানি করা দেশ হয়েছে বাংলাদেশ। অথচ সেই পোশাক খাতের শ্রমিকদের মজুরি পৃথিবীর মধ্যে সর্বনিম্ন।

বক্তারা আরও বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। বেড়েছে বাড়িভাড়া, শিক্ষা ও চিকিৎসার খরচ। দফায় দফায় বাড়ছে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম। শ্রমিকের আয় না বাড়ায় তাঁদের জীবনমান বাড়ছে না। নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত বাংলাদেশের শ্রমিকেরা মানসম্পন্ন জীবন যাপন করার মতো মজুরি পাবেন, না এটা হতে পারে না। অর্থনীতির সাধারণ নিয়মানুযায়ী শ্রমিকের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে দেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা বাড়ে। এ জন্য প্রতিটি উন্নত দেশের শ্রমিকদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মান উন্নত। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত করতে হলে শ্রমজীবী মানুষের আয় বাড়াতেই হবে। তাই অর্থনীতির বিকাশের জন্যই ন্যায্য মজুরি নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

নেতারা অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৪ হাজার টাকা নির্ধারণ, শ্রমিকদের রেশনব্যবস্থা চালুর দাবি জানান।