আমার পাহারা না লাগলে হিন্দু বন্ধুদের বাড়িতে-মন্দিরে প্রয়োজন হবে কেন: জামায়াতের আমির

দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের জন্য সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের জেল মোড় এলাকায় ইনস্টিটিউট মাঠেছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতার মালাই খাওয়া জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য নয়। সমাজের গুণগত পরিবর্তন আনাই তাঁদের দলের উদ্দেশ্য। তাঁরা এমন একটি দেশ, এমন একটি জগৎ চান, যেখানে জাতি-দল-ধর্মনির্বিশেষে সব মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, বাড়িঘর পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিনাজপুর শহরের জেল মোড় এলাকায় ইনস্টিটিউট মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নিহত রুদ্র সেনসহ হতাহত ব্যক্তিদের জন্য সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শফিকুর রহমান।

আরও পড়ুন

জামায়াতের আমির বলেন, ‘যারাই জন্মগতভাবে এ দেশে জন্মগ্রহণ করবে, তারা এ দেশের সৌভাগ্যবান নাগরিক। আমার যদি বাড়িতে-মসজিদে পাহারা না লাগে, তাহলে হিন্দু বন্ধুদের বাড়িতে-মন্দিরে পাহারার প্রয়োজন হবে কেন। আমরা এই ধরনের কোনো বৈষম্য চাই না। আমাদের সন্তানেরা যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গেছে, এর মাধ্যমে সকল প্রকার বৈষম্যের কবর রচনা হোক।’

শফিকুর রহমান বলেন, এ আন্দোলন বিশেষ কোনো জনগোষ্ঠীর কিংবা সম্প্রদায়ের নয়। নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের লোকেরা শুধু লড়াই করেনি। জাতি-দল-ধর্মনির্বিশেষে আপামর জনতার এ আন্দোলনকে কেউ যদি নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়, তাহলে আবারও বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ তা রুখে দেবে।

আরও পড়ুন

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাতজনের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে দেন জামায়াতের আমির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা জামায়াতের আমির আনিসুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, জেলার সাবেক আমির আফতাব উদ্দিন মোল্লা, জেলা কর্মপরিষদের সদস্য সিরাজুস সালেহীন প্রমুখ।

সকাল ৯টার দিকে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে হেলিকপ্টার থেকে নামেন জামায়াতের আমির। এরপর দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শহরের পাহাড়পুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেটে নিহত শিক্ষার্থী রুদ্র সেনের বাড়িতে যান। নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।