ঢাকার অ্যাপার্টমেন্ট ঘেরাও করে আসামিকে পুলিশে দিল জনতা

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাককে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ওরফে তোতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে তাঁকে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৭ আগস্ট দুর্বৃত্তদের হামলায় বিএনপির নেতা তোতা গুরুতরভাবে আহত হওয়ার পর রাজ্জাক চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেন। এরপর তিনি গোপনে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। গতকাল বিকেলে ওই এলাকার এক বাসিন্দা রাজ্জাক চেয়ারম্যানের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় জনতা ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা অ্যাপার্টমেন্ট ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নেতা তোতা হত্যা মামলার আসামি রাজ্জাককে ঢাকার ভাটারা থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আজ সোমবার ভোরে তাঁকে ঢাকা থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ দুপুর নাগাদ নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাতে চরএলাহী বাজারে একদল অস্ত্রধারী বিএনপির নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনার চার দিন পর ৩০ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ছিলেন আবদুর রাজ্জাক। নিহত বিএনপির নেতার স্বজন ও এলাকাবাসী রাজ্জাক চেয়ারম্যানের ফাঁসির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে একাধিক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

তবে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক বলেন, তিনি ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। সেখানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে নিজ দলের প্রতিপক্ষের হাতেই হামলার শিকার হয়েছেন তোতা।