ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অ্যাম্বুলেন্স রাখায় এক চালককে পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন অন্য চালকেরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করানো নিষেধ। বেলা একটার দিকে ওই স্থানে একটি রোগীবিহীন অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পরে জানা যায়, চালক অ্যাম্বুলেন্স রেখে বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে গেছেন। কিছুক্ষণ পরও এটি না সরানোয় শাস্তি হিসেবে ওই অ্যাম্বুলেন্সের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয় পুলিশ।
ওই ঘটনার পর বেলা আড়াইটার দিকে জরুরি বিভাগের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম। এ সময় ওই অ্যাম্বুলেন্সটির চালকসহ আরও কয়েকজন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। পরে রফিকুল ইসলাম জরুরি বিভাগের সামনে রাখা অ্যাম্বুলেন্সটির চালক সোহেলকে হাতকড়া পরিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে যেতে চান।
তাৎক্ষণিক ২০ থেকে ৩০ জন চালক এসে হাতকড়া পরানো অবস্থায় সোহেলকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এ সময় বাধা দিলে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা ও ফরহাদ হোসেন আহত হন বলে দাবি পুলিশের।
বিকেলে হাসপাতালের সামনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্সচালকের সঙ্গে এ ঘটনা নিয়ে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা বলেন, কোনো অন্যায় না করলেও চালক সোহলকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে অন্য চালকেরা বাধা দেন। তবে এ সময় পুলিশের সঙ্গে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি তাঁদের।
হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। মামলা করার বিষয়টি তাঁরা বলতে পারবেন। তবে চালকের পক্ষ থেকে হাতকড়াটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ বলেন, প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য পুলিশ কাজ করছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।