বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু বলেছেন, ‘শুধু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই সংস্কার চায় না, সংস্কার আমাদেরও কর্মসূচি। সবার প্রতি অনুরোধ, নিজেদের বিজয়ী ভেবে জনগণ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন না করে ফেলি।’
আজ শনিবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের বিভাগীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল আওয়াল মিন্টু এ কথা বলেন। ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আবদুল আওয়াল বলেন, ‘অনেক সংস্কার দরকার। সেটি আমরাও মানি। আমরা কোনো সংস্কারে বাধা দিচ্ছি না। তবে অনেক বহুমাত্রিক সংস্কার আছে। গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া কোনো সাংবিধানিক সংস্কার কখনো সম্ভব হয় না।’
আবদুল আওয়াল বলেন, ‘এর আগে ওয়ান–ইলেভেনের সময়েও আমরা দেখেছি, অনেক সংস্কারের জন্য অনেক আইন করা হয়েছিল। তবে সেগুলো পরে আর বাস্তবায়িত হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ, তারা একটি দিকনির্দেশনা দিক, যাতে পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা তা চালিয়ে যাবে। আমরা কোনোভাবেই চাই না যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হোক। তবে তারা যদি নিজেদের সফল করতে চায়, তাহলে তাদেরও কিছু কর্তব্য আছে। তাদের পথ যেন লম্বা এবং অমসৃণ না হয়। যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করে তারা একটি রোডম্যাপ দিক—কবে তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে।’
জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন, জুলফিকার হোসেন প্রমুখ।
নেতা–কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আবদুল আওয়াল বলেন, ‘এক মাসের আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটে না। ১৬ বছর ধরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অত্যাচারিত-নির্যাতিত হয়েছেন। আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬২ হাজার মামলা দেওয়া হয়েছে। দলের ৬২ হাজার নেতা-কর্মী আসামি হয়েছেন। আমরা প্রাথমিক বিজয় লাভ করেছি। সবার প্রতি অনুরোধ, নিজেদের বিজয়ী ভেবে জনগণ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন না করে ফেলি। নিজেদের ঐক্যবদ্ধ রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই একসঙ্গে কাজ করে যাবেন।’