অতীতের চেয়ে বাঁধের কাজ ভালো হয়েছে দাবি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ‘হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভালো হয়েছে। শুরু থেকে কাজ বাস্তবায়নের জন্য আমরা অনেক কমিটি গঠন করে কাজ তদারক করেছি। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কমিটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা হাওর ঘুরে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ দেখেছেন। হাওরে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ এখানো শেষ হয়নি। কাজ চলমান। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে, তা কয়েক দিনের মধ্যেই সমাধান হবে।’
আজ বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এসব কথা বলেন।
আগামী বছরের পরিকল্পনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, আগামী বছর সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার নদীগুলোসহ ১৯টি নদীর গভীরতা বৃদ্ধির জন্য খনন করা হবে। সে জন্য একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। সেটা বাস্তবায়ন হলে হাওরবাসীর ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। এ সময় হাওর বাঁচাও আন্দোলন কমিটির লোকজন জগন্নাথপুরের নলুয়ার হাওরের ফসল রক্ষায় ভুরাখালি থেকে হান্দুয়াবিল পর্যন্ত খনন করার দাবি জানালে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এই দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
এদিকে প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, নলুয়ার হাওরের ভুরাখালি থেকে হান্দুয়াবিল পর্যন্ত এক কিলোমিটার নদী খনন করা হলে প্রতিবছর আট কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে না। সরকারি অর্থের সাশ্রয় হবে এবং পাশাপাশি অকাল বন্যার ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
এ সময় সুনামগঞ্জের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পাউবোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এম শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।