লক্ষ্মীপুরে তাহেরের তিন ছেলেসহ ৫১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মামলাপ্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম ফারুক, পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত আওয়ামী লীগের নেতা আবু তাহেরের ছেলে এ এইচ এম আফতাব উদ্দিন, এ কে এম সালাহ উদ্দিন, মো. শিবলুকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় এ মামলা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল সদর আদালতে বাদী হয়ে ১৬৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সবুজ ভূঁইয়া নামের এক তরুণ।

আদালতের বিচারক আবু ইউছুফ মামলাটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় তাহেরের ছেলে ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হয়। লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুককে ২ নম্বর আসামি করা হয়। সালাহ উদ্দিন শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান ও সাব্বির হোসেনকে হত্যা এবং পুলিশের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি।

রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে প্রাণ ভিক্ষা পাওয়া ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত আবু তাহেরের বড় ছেলে এ এইচ এম আফতাব উদ্দিন ও তাঁর ছোট ভাই মো. শিবলুকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাবেক এমপি ফারুকের নির্দেশে সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে আসামিরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলি করেন। ঘটনার সময় বাদী সবুজ ভূঁইয়ার শরীরে ৪টি গুলি লেগেছে বলে তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন। মামলার বাদী সবুজ রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের বামনী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে।

বাদীর আইনজীবী মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, মামলাটি বিচারক আমলে নিয়েছেন। এফআইআর দাখিলের জন্য আদালত সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, মামলার অনুলিপি এখনো থানায় আসেনি। তবে মামলার বিষয়টি তিনি শোনেননি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে ৪ আগস্ট সংঘর্ষে পুরো লক্ষ্মীপুর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। চার ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থী ওপর গুলিবর্ষণ করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন ও তাঁর লোকজন। এ সময় নিহত হয়েছেন ৪ শিক্ষার্থীসহ ১২ জন। আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক। এর মধ্যে অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ হন।