সাতকানিয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য নদভীসহ ১৯৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার অভিযোগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীসহ ১৯৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও আওয়ামী লীগের ২০০ থেকে ২৫০ নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার সাতকানিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ও জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় কর্মী মো. সৈয়দুজ জামান।
মামলায় আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়েরসহ ১৯৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট দুপুরের দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার একটি মিছিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া রাস্তার মাথা হয়ে কেরানীহাট গোলচত্বর এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় মামলায় উল্লিখিত আসামিদের অর্থায়ন, নির্দেশনা ও প্ররোচনায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালান। পরে তাঁরা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করেন। তাঁরা চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন এবং ১০ থেকে ১২টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ হামলায় মামলার বাদী জামায়াতের কর্মী মো. সৈয়দুজ জামান, ইউসুপ, আবদুল আজিজসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছিলেন।
সাতকানিয়া থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান বলেন, গতকাল মো. সৈয়দুজ জামান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, বিপ্লব বড়ুয়াসহ ১৯৮ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। কয়েক দিন আগে সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ঢাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। মামলাটি তদন্ত করে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।