মিয়ানমার থেকে আসা বিস্ফোরণের শব্দে টেকনাফে আবারও আতঙ্ক
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আসা বিস্ফোরণের শব্দে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে আবারও থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে এসব এলাকায়। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বিস্ফোরণ থামেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের কাদিরবিল, মংনিপাড়া ও সুদাপাড়া গ্রামে মুহুর্মুহু মর্টারশেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এতে বিকট শব্দ তৈরি হচ্ছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের বিপরীতে টেকনাফের সাবরাং এলাকা। ওপার থেকে আসা বিস্ফোরণের শব্দে এলাকার লোকজন শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। এলাকার ঘরবাড়ি কিছুক্ষণ পরপর কেঁপে উঠছে। বিকট শব্দের কারণে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা খুবই বিপাকে রয়েছেন।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে আবার মিয়ানমারে বিস্ফোরণ শুরু হওয়ায় টেকনাফের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কায়ুকখালীয়পাড়া, পল্লানপাড়া, কুলালপাড়া, খানকার ডেইলসহ কয়েকটি এলাকায় মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে এসব এলাকার ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে।
সেন্ট মার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ৫ জুন থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপের ১০ হাজার মানুষ বিপাকে রয়েছে। উত্তাল সাগরের ঢেউ পাড়ি দিয়ে বিকল্প পথে নৌযান চলাচল সম্ভব হচ্ছে না।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন সীমান্ত এলাকা কিছুটা শান্ত থাকলেও মঙ্গলবার রাত থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির টহল অব্যাহত রয়েছে।