টঙ্গিবাড়ীতে ফার্নিচারে নকশা করা নিয়ে দ্বন্দ্বে মিস্ত্রি খুন
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ফার্নিচারের নকশা করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মোস্তফা খালাসী (৪২) নামের এক নকশা মিস্ত্রিকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাঘিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মোস্তফা খালাসী উপজেলার যশলং ইউনিয়নের হাটকান গ্রামের সফিজউদ্দিন খালাসীর ছেলে। তিনি বাঘিয়া বাজারে ফার্নিচারের নকশার কাজ করতেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাজন সিকদার। তিনি সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের ঢালীকান্দি এলাকার বাসিন্দা। তিনি টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পুরাবাজারে একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে বাঘিয়া বাজারে ফার্নিচারের নকশা করার জন্য মোস্তফার দোকানে কাঠ নিয়ে আসেন রাজন। মোস্তফাকে রাজন তাঁর কাঠে নকশা করে দিতে বলেন। রোজা রেখেছেন, হাতে কাজ আছে, বিদ্যুৎও থাকবে না জানিয়ে মোস্তফা নকশা করে দিতে পারবেন না বলে জানান রাজনকে। রাজন বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে দুজন তর্কে জড়ান। রাজনের কাঠ দোকান থেকে বাইরে ছুড়ে ফেলে দেন মোস্তফা। একপর্যায়ে রাজন ও মোস্তফা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাঁদের দুজনকে দুই দিকে ছাড়িয়ে দেন পাশের দোকানের লোকজন। সে সময় মোস্তফা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে দোকানে লাশ রেখে পালিয়ে যান রাজন। স্থানীয় লোকজন দোকানে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ওই বাজারের এক দোকানদার বলেন, ‘মোস্তফা যখন মাটিতে পড়ে যায়, তখন আমি তার কাছে গিয়েছিলাম। মোস্তফা বলেছে, রাজন তার অণ্ডকোষে চাপ দিয়েছে। বলতে বলতেই সে মারা যায়।’
এ ব্যাপারে উপজেলার দিঘীরপাড় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, মোস্তফার গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। ঘটনার পরপর রাজন পালিয়ে যান। পরে নিহত মোস্তফার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।