ভূরুঙ্গামারীতে বিজয় দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিজয় দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নেতা–কর্মীদের জটলা। আজ সোমবার উপজেলার কলেজ মোড় এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিজয় দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বিজয়স্তম্ভ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টার দিকে বিজয়স্তম্ভে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম শাহিন সিকদার ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এর জেরে সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কলেজ মোড়ে সংঘর্ষ বাধে। পরে বিকেলে সাইফুর রহমানের সমর্থক নেতা–কর্মীরা আবারও সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ মোড়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ও ফরিদুল ইসলামের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

ফরিদুল ইসলাম বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে পাঁচ–ছয়জন নেতাকর্মী ফুল নিয়ে যান। কিন্তু জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদকের শতাধিক লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁদের বিজয়স্মম্ভে উপস্থিত হতে বাধা দেয়। পরে তারা আরও সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ মোড়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ও দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় তাঁদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সাংবাদিকরা ভিডিও ধারণ করতে এলে তাঁদেরও লাঞ্ছিত করে হামলাকারীরা। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

জেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। আমি অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছি। ফরিদুল ইসলাম শাহিন শিকদার বহিষ্কৃত। সে বিএনপির কোনো পদেই নেই।’

আরও পড়ুন

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েম আহমেদ বলেন, মারামারির ঘটনায় হাসপাতালে ৮ থেকে ৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন গুরুতর হওয়ায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে শুনেছেন। এক পক্ষের ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ১০ জনের মতো আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।