যশোরে বিএনপির কার্যালয় ও তরিকুলের বাড়িতে হামলায় কোনো আটক নেই, মামলাও হয়নি
যশোর শহরের লালদীঘি পাড়ে বিএনপির কার্যালয় ও দলের স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামের বাড়িতে দিনদুপুরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কর্মীদের হামলার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। দলের পক্ষ থেকেও থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি।
এদিকে যশোরে সাম্প্রতিক অব্যাহত রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে যশোর জেলা বিএনপি আজ বিকেল পৌনে চারটায় লালদীঘি পাড়ে দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ উপস্থিত থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকালে যশোর আদালতে চালান দেওয়া বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে শহরের ঘোপের বাড়িতে ফেরার পথে প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামের গাড়িতে হামলা করে যুবলীগের কর্মীরা। চালক দ্রুত গাড়িটি ঘুরিয়ে নিরাপদে বাসভবনে নিয়ে যান। বাড়িতে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরেই আবার বাড়িতেই হামলা হয়। এ সময় ওই বাড়িতে অবস্থান করা বিএনপির শতাধিক নেতা–কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে ও ইট ছুড়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন।
পরে বিকাল পাঁচটার দিকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে শহরের লালদীঘি পাড়ের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এতে গোটা শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির কার্যালয় ও অনিন্দ্য ইসলামের বাড়িতে হামলার ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ বা মামলা দেয়নি। যে কারণে কাউকে আটক করাও যায়নি।
কেউ অভিযোগ বা মামলা না দিলে কি ব্যবস্থা নেবেন না—এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আসামি আটক করে থানায় সারা জীবন আটকে রাখব। কেউ মামলা না দিলে আদালতে চালান দেব কীভাবে?’
মামলা করার বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, ‘মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে আমরা হামলাকারী ২০ থেকে ৩০ জনকে চিনতে পেরেছি। তাঁদের নাম উল্লেখ করেই মামলা করা হবে।’