ধামরাইয়ে শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার পর গলার চেইন খুলে নেন আসামি: র্যাব
ঢাকার ধামরাই উপজেলার কালামপুরে নিখোঁজ শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব। র্যাবের দাবি, শিশুটির পরনের প্যান্টের ফিতা গলায় পেঁচিয়ে ও কাদায় মুখ চেপে মৃত্যু নিশ্চিত করেন আল আমিন (২২) নামের এক মাদকাসক্ত তরুণ। শুধু তা–ই নয়, মাদকের টাকা জোগাড় করতে তিনি নিহত শিশুর গলা থেকে রুপার চেইনও খুলে নেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সাভারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র্যাব-৪।
গ্রেপ্তার আল আমিনের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায়। কয়েক বছর ধরে তিনি ধামরাইয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব-৪, সিপিসি-২ নবীনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান জানান, গত রোববার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে বের হয় ওই ছেলেশিশু। এ সময় শিশুটির গলায় রুপার চেইন দেখতে পান আল আমিন। পরে তিনি শিশুটিকে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা শিশুটি পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দিতে পারে, এমন ভয় পান আল আমিন। পরে শিশুর পরনের প্যান্টের ফিতা খুলে গলায় পেঁচিয়ে ও মুখ কাদামাটির সঙ্গে চেপে ধরে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করেন আল আমিন। এরপর শিশুটির গলা থেকে রুপার চেইনটিও খুলে নেন তিনি।
নিখোঁজের পরদিন গতকাল সোমবার সকালে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা র্যাব-৪-কে বিষয়টি জানান। পরে ছায়া তদন্ত শুরু করে সংস্থাটি। গতকাল দুপুরেই শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের খবর পায় র্যাব। সংস্থাটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করেন। একপর্যায়ে আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকও করা হয়।
নিখোঁজের পরদিন গতকাল সোমবার সকালে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা র্যাব-৪-কে বিষয়টি জানান। পরে ছায়া তদন্ত শুরু করে সংস্থাটি। গতকাল দুপুরেই শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের খবর পায় র্যাব। সংস্থাটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করেন। একপর্যায়ে আল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকও করা হয়। র্যাব বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। এ ছাড়া ধামরাই, আশুলিয়া ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গেও জড়িত। আল আমিন নিয়মিত হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করেন।
এর সঙ্গে রাকিব মাহমুদ খান আরও যোগ করেন, আল আমিনকে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাঁর দেওয়া তথ্যে চুরি করা চেইনটি ধামরাইয়ের একটি জুয়েলার্স থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।