কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার মুসল্লিদের জন্য স্পেশাল ট্রেন
প্রতিবছরের মতো এবারও কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার মুসল্লিদের জন্য থাকছে দুটি স্পেশাল ট্রেনের সুব্যবস্থা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঈদের জামাতে অংশ নিতে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল নামে দুটি ট্রেন ঈদের দিন মুসল্লিদের আনা–নেওয়া করবে। এর মধ্যে একটি ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে নামাজ শেষে আবার ময়মনসিংহে ফিরে আসবে এবং অন্যটি ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ এসে আবার ভৈরবে ফিরে যাবে।
ময়মনসিংহ জংশন থেকে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল বিশেষ ট্রেনটি ভোর পৌনে ছয়টায় ছেড়ে সকাল সাড়ে আটটায় কিশোরগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছাবে। পরে শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত শেষে ওই ট্রেন কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে দুপুর ১২টায় ছেড়ে বেলা তিনটায় ময়মনসিংহে এসে পৌঁছাবে। ট্রেনটি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটের শম্ভুগঞ্জ, বিসকা, গৌরীপুর, বোকাইনগর, ঈশ্বরগঞ্জ, সোহাগী, আঠারবাড়ী, নান্দাইল রোড, মুসুল্লি, নীলগঞ্জ স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে।
এদিকে ভৈরব জংশন থেকে সকাল ছয়টায় আরেকটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন কিশোরগঞ্জ অভিমুখে ছেড়ে সকাল আটটায় পৌঁছাবে এবং নামাজ শেষে আবার দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ ছেড়ে বেলা দুইটায় ভৈরব পৌঁছাবে। পথে কালিকাপ্রসাদ, ছয়সুতি, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, সরারচর, হালিমপুর, মানিকখালী, গচিহাটা ও যশোদল স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, শোলাকিয়া ঈদগাহের ঐতিহ্য ও রেওয়াজ অনুযায়ী বন্দুকের ফাঁকা গুলির মাধ্যমে সকাল ১০টায় ১৯৬তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ঈদ জামাতে যেন ময়মনসিংহ, ভৈরবসহ আশপাশের মুসল্লিরা অংশ নিতে পারেন, এ জন্য প্রতি ঈদে এমন বিশেষ ট্রেন দুটি চালু করে আসছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এদিকে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় জেলা পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। পুলিশ সুপার প্রথম আলোকে বলেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাঁচ প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের নিয়ে চার স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ধাতব বস্তু শনাক্তকরণ যন্ত্র (মেটাল ডিটেক্টর) দিয়ে তল্লাশি করে প্রত্যেক মুসল্লিকে মাঠে ঢোকানো হবে।
২০১৬ সালে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর থেকে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।