ঠাকুরগাঁওয়ে ইয়াবাসহ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল মনসুরকে ১ হাজার ৫০০টি ইয়াবা বড়িসহ গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের কাঁচকালী বাজারের সার ও কীটনাশক দোকানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আল মনসুর উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা এবং একই সঙ্গে বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ইউনিটি নামে একটি সাংবাদিকদের সংগঠনের সভাপতি।

ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. ফরহাদ আকন্দের নেতৃত্বে একটি দল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কাঁচকালী বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা আল মনসুরের সার ও বীজের দোকানে অভিযান চালায়। তাঁর দেকানের টেবিলের ড্রয়ারে রাখা একটি ব্যাগে সাতটি পলি প্যাকেট থেকে ১ হাজার ৪০০টি ও অন্য একটি প্যাকেট থেকে ১০০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা আল মনসুর ইয়াবা বড়ির ব্যাগটি উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বাসিন্দা ফারাজ উদ্দীন রেখে গেছেন বলে দাবি করেন।

এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. ফরহাদ আকন্দ বাদী হয়ে আল মনসুর ও ফারাজ উদ্দীনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় আল মনসুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, আজ বুধবার গ্রেপ্তার আসামি আল মনসুরকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাতের মুঠোফোনে কল করা হলে তাঁরা ধরেননি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় বলেন, ‘বিষয়টি যাচাই করে দেখছি। সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ২৭ সদস্যবিশিষ্ট বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে জেলা আওয়ামী লীগ। একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে অনুমোদনের জন্য জেলা কমিটির কাছে পাঠান আংশিক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। পরের বছরের ২২ মে তা অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। সেই কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পান আল মনসুর। বিতর্কিত ব্যক্তিদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে ৩০ মে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া বছরখানেক আগে আল মনসুরের মাদক সেবনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছিল।