চুয়াডাঙ্গায় ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

মামলাপ্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় তিন বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পাঁচ দিন পর গতকাল শনিবার রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় দেলোয়ার হোসেন (২২) নামের এক তরুণকে আসামি করে মামলা করেছেন।

অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার ছানোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক। বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত দেলোয়ার আত্মগোপনে চলে যান।

শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে শিশুটি বাড়ির পাশে খেলতে যায়। এই সময় অভিযুক্ত দেলোয়ার তাকে ঘরের ভেতরে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। শিশুটির কান্না শুনে তার ভাইসহ  দুজন দেলোয়ারের বাড়িতে যান। এরপর তাঁরা শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং মা–বাবাকে ঘটনা খুলে বলেন। পরে অভিযুক্ত দেলোয়ার বিষয়টি কাউকে না জানাতে শিশুটির পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিতে থাকেন।

এদিকে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রক্তক্ষরণের কারণে শিশুটি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সেখান থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় যাতে মামলা না হয়, সে জন্য অভিযুক্ত দেলোয়ার স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় শিশুটির পরিবারকে নানা রকম চাপ দিয়ে আসছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শনিবার শিশুটিকে বাড়িতে আনা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ৩০ ডিসেম্বর তিন বছর বয়সী শিশুটি ধর্ষণের শিকার হলেও পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি এত দিন গোপন রেখেছিলেন। ঘটনার পাঁচ দিন পর শনিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত দেলোয়ার আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাঁকে ধরতে অভিযান চলছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে আজ রোববার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।