শীত, কুয়াশা উপেক্ষা করে উত্তরার মেট্রো স্টেশনে তাঁরা
পৌষের সকালে ঘন কুয়াশা আর হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যে হাজারো মানুষের জটলা রাজধানীর উত্তরার মেট্রোরেল স্টেশনে। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে তাঁদের অপেক্ষা বহুকাঙ্ক্ষিত মেট্রো ট্রেনে চড়ার। গতকাল বুধবার উদ্বোধনের পর সাধারণ যাত্রী নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল আটটার দিকে আগারগাঁও ও উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সাধারণ যাত্রী নিয়ে প্রথম ট্রেন ছাড়ে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সকাল আটটা থেকে টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু উৎসুক জনতা তারও আগেই স্টেশনের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সকাল পৌনে আটটার দিকেই লম্বা লাইন পড়ে যায় স্টেশনের সামনে। বেলা বাড়তেই বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়।
আজ সকাল ৯টার দিকে উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্টেশনে সরেজমিন দেখা যায়, স্টেশনের সামনে দুটি প্রবেশ পথ। দুটির সামনেই যাত্রীদের দীর্ঘ সারি। সবাই ট্রেনের টিকিট কাউন্টারের সামনে যাওয়ার অপেক্ষা করছেন। তাঁদের কেউ চাকরিজীবী, কেউ শিক্ষার্থী, কেউ উৎসুক জনতা। এর মধ্যে অনেকেই এসেছেন ঢাকার বাইরে থেকে।
১ নম্বর প্রবেশ পথের সামনে কথা হয় রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার বাসিন্দা মো. মামুনের সঙ্গে। তিনি সকাল আটটায় এসেছেন স্টেশনের সামনে। কিন্তু মানুষের ভিড় ঠেলে এখনো সামনে এগোতে পারেননি। মো. মামুন বলেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আজ তাঁর ছুটির দিন। গতকাল মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকেই তাঁর তর সইছিল না। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই চলে এসেছেন স্টেশনে।
পরনে হাফপ্যান্ট আর ফুটবল হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় এ এস এম নাঈমসহ একদল তরুণকে। তাঁরা উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা। নাঈম বলেন, সকালে ফুটবল খেলা শেষে তাঁরা চলে এসেছেন ট্রেনে চড়তে। একবার আগারগাঁও যাবেন, তারপর আবার সেখান থেকে ফিরবেন ট্রেনে করে। ঠান্ডায় সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা দীর্ঘ দিনের শখ। শীত বা কোনো প্রতিকূলতা ব্যাপার না।’