বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় সিলেটের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা বিস্ফোরক ও নাশকতার একাধিক মামলায় পৃথক অভিযানে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ (৫০) ও যুবলীগ নেতা বাবর মিয়াকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে সিলেটের বন্দরবাজার থেকে পুলিশ বাবর মিয়াকে এবং উপশহর এলাকা থেকে র্যাব মোস্তাক আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার মোস্তাক আহমদ সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ডটির আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর গ্রেপ্তার বাবর মিয়া সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদের বিরুদ্ধে গত ২৬ আগস্ট কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন নগরের চারাদিঘীর পাড় এলাকার বাসিন্দা রুবেল আহমদ। মামলায় ৪ আগস্ট সিলেট নগরের মিরবক্সটুলায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। মোস্তাক আহমদ মামলার ৫৫ নম্বর আসামি। র্যাব-৯–এর সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. মশিহুর রহমান বলেন, গতকাল বুধবার রাতে মোস্তাককে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার বাবর মিয়ার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট নগরের বন্দরবাজার ও দক্ষিণ সুরমায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা এবং নাশকতার অভিযোগে একাধিক মামলা আছে। ৪ আগস্ট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সিলেট নগরের মিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা রশিদ মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
সিলেট কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতা বাবর মিয়ার বিরুদ্ধে সিলেটে তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয়েছে সিলেট কোতোয়ালি থানায় এবং অন্যটি হয়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায়। সিলেট কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।