বাউফলে সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন, যুবদল নেতাকে শোকজ

পটুয়াখালীর বাউফলে সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে যুবদল দল নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কেছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালীর বাউফলে এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়। এদিকে সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ওই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

যুবদলের ওই নেতার নাম মো. হুমায়ুন কবির। তিনি পটুয়াখালী জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। হুমকি পাওয়া সাংবাদিক মো. সিদ্দিকুর রহমান বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এবং দেশ রূপান্তর পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি।

মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন, বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক জি এম মিলন প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় যুবদল নেতা হুমায়ুন কবিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

এদিকে হুমকির ঘটনায় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে যুবদল নেতা হুমায়ুন কবিরকে সশরীর উপস্থিত হয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলামের সামনে মৌখিক ও লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার বাউফল পৌরসভার পশ্চিম বাউফল নূরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন একটি ভবনের অনিয়মের বিষয়ে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে যান বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ কয়েকজন সাংবাদিক। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যুবদল নেতা হুমায়ুন কবির মুঠোফোনে সিদ্দিকুরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। সাংবাদিক ও যুবদল নেতার মুঠোফোনে কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরও যুবদল নেতা হুমায়ুন কবির দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। অনেক অসৌজন্যমূলক ও অশালীন আচরণ করেন। তিনি এ বিষয়ে তাঁর ইউনিটির সদস্যদের সঙ্গে জরুরি সভা করে রাতেই সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মুঠোফোন থেকেই কথা হয়েছে। তবে তিনি হুমকি দেননি। তাঁর মুঠোফোন দিয়ে তাঁর বন্ধু সোহেল যিনি কাজের ঠিকাদার, তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন। এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।