কারও উসকানিতে পা দিয়ে কলকারখানায় বিশৃঙ্খলা করবেন না: নুরুল হক

গাজীপুরে শ্রমিক অধিকার পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। আজ শুক্রবার বিকেলে কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ মাঠেছবি: সংগৃহীত

রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস খাত ও দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্য স্বৈরাচার ও তার দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। তিনি কারও উসকানিতে পা দিয়ে মিল–কারখানায় বিশৃঙ্খলা না করার জন্য শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে গাজীপুরে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে নুরুল হক বলেন, ‘৪৫ থেকে ৫০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা এই গার্মেন্টস সেক্টর। এই গার্মেন্টস সেক্টর ভিয়েতনাম, ভারত, কম্বোডিয়াসহ যারা বাংলাদেশের প্রতিযোগী। আমাদের পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসররা এই রপ্তানিমুখী খাতকে ধ্বংস করার জন্য, বাংলাদেশের অর্থনীকে ধ্বংস করার জন্য; আমরা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে খবর পেয়েছি, হাজার হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট (বিনিয়োগ) করেছে। কাজেই আমার শ্রমিক ভাই–বন্ধুদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, কারও উসকানিতে পা দিয়ে মিল–কলকারখানায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করবেন না।’

গাজীপুরে কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই সমাবেশের আয়োজন করে গাজীপুর জেলা ও মহানগর শ্রমিক অধিকার পরিষদ। শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলার গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান, গাজীপুর জেলা গণ আধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পাঠান আজহার, গাজীপুর মহানগর গণ অধিকার পরিষদের সংগঠক শিপন হাওলাদার প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি শ্রমিক–অধ্যুষিত গাজীপুর, আশুলিয়া, সাভারসহ বিভিন্ন এলাকা অস্থির হয়ে উঠছে। আমরা পরিষ্কার করে বলি, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে গণ অধিকার পরিষদ লড়াই করেছে, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত গণ অধিকার পরিষদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।’

শ্রমিকদের উদ্দেশে নুরুল হক আরও বলেন, ‘কোনো ধরনের আন্দোলন করে শিল্পকারখানা বন্ধ করবেন না। আপনাদের যদি কোনো দাবি থাকে আপনারা ঢাকা কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে যোগাযোগ করবেন। দাবি আদায়ে রাজপথে থাকব। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানও করব।’

নুরুল হক আরও বলেন, ‘আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না, সবে মাত্র দুই মাস হয়েছে ছাত্র-জনতা গণ–অভ্যুত্থান করে একটি ফ্যাসিস্ট শাসনের পদত্যাগ ঘটিয়েছে। এই ফ্যাসিবাদী শাসকেরা গত দেড় দশকে অন্তত কয়েক হাজার পরিবারকে হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়েছে। তাই সরকার যেন সুন্দরভাবে দেশ চালাতে না পারে, বাংলাদেশকে তারা একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে। তাই তাদের চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতন থেকে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে হবে। দেশের অর্থনীতি চাকাকে সচল করার জন্য গার্মেন্টসসহ সব সেক্টরকে স্থিতিশীল রাখতে হবে।’