আম খেতে না দেওয়ায় তিন ভাবিকে ছুরিকাঘাত করেন আইনুল

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে তিন ভাবিকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো দেবর আইনুল হককে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বজন ও মামলার বরাতে জানা যায়, আম খেতে না দেওয়ায় এবং হাসিঠাট্টা করায় ক্ষোভে তিন ভাবিকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন আইনুল। এর মধ্যে মাসুদা বেগম ওরফে স্বপ্না (৩৪) নামের এক ভাবি মারা যান।

আরও পড়ুন

উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের আমড়িয়া গ্রামের জামাল মিয়ার বাড়িতে গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে পলাতক ছিলেন আইনুল। এ ঘটনায় আইনুল হককে আসামি করে নিহত মাসুদা বেগমের বাবা নুরুল ইসলাম মামলা করেন। মামলার পর আমড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আইনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল বণিক মামলা দায়ের এবং আইনুলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে আইনুলের মানসিক সমস্যা আছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

এ ঘটনায় আহত অপর দুই নারী মর্জিনা বেগম (৩০) ও ইয়াসমিন (২৬) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমড়িয়া গ্রামের জামাল মিয়ার চার ছেলে। এর মধ্যে তিনজন বিবাহিত। সবাই একই পরিবারে বসবাস করেন। এর মধ্যে সবার ছোট আইনুল হক। তিনি অবিবাহিত।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বাদীর বাড়ি উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে। ১৪ বছর আগে মেয়ে মাসুদাকে আমড়িয়া গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে নবাব মিয়ার সঙ্গে বিয়ে দেন। তাঁদের ঘরে ১২ বছরের এক ছেলে আছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গতকাল শনিবার সকালে ইয়াসিনসহ সবাই বাড়ির উঠানে বসে আম খাচ্ছিলেন। হঠাৎ আইনুল এসে আম চান। তাঁকে আম না দেওয়ায় তিনি উঠানের এক পাশে থাকা নলকূপের হাতল খুলে ঘুরাতে থাকেন। তাঁর এই পাগলামি দেখে সবাই হাসিঠাট্টা করেন। একপর্যায়ে আইনুল ঘর থেকে ধারালো চাকু নিয়ে এসে মাসুদাকে এলোপাতাড়ি চুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ সময় মাসুদাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে মর্জিনা ও ইয়াসমিনকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান আইনুল।