সকাল সাড়ে আটটা বাজতে না বাজতেই বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে শহরতলির এরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন বৃদ্ধা কল্পনা রানী পাল। তিনি ছিলেন এ কেন্দ্রে আসা দিনের প্রথম ভোটার। কিন্তু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ভোট না দিয়ে তিনি বাড়িতে ফিরে গেছেন।
কল্পনা রানী পালের বাড়ি বগুড়া সদরের এরুলিয়া পালপাড়া এলাকায়। ইভিএমে ভোট বিড়ম্বনার কথা জানিয়ে কল্পনা রানী পাল প্রথম আলোকে বলেন, সাতসকালে ভোট দিতে এলেও আঙুলের ছাপ না মেলায় বুথ থেকে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে পুরুষ কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ১৯ ও নারী কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ৬৮ জন। এ কেন্দ্রে সাতসকালে ভোট দিতে এসেছিলেন এরুলিয়া ইউনিয়নের আরজি পলিবাড়ির কাঠমিস্ত্রি সাগর হোসেন (৩৫) ও রাজমিস্ত্রি দুলাল হোসেন (৫০)। তাঁরা বলেন, সকাল সকাল ভোট দিয়ে তাঁরা কাজে যাবেন।
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ইভিএমে আঙুলের ছাপ না মেলায় একজন ভোটারকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
নানা শঙ্কার মধ্যেই বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও ৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ইভিএমে টানা ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত।
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণে ১ হাজার ৮০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। মোতায়েন আছে ১৬ প্লাটুন বিজিবি। পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটও মাঠে আছে।