গৌরনদীতে বাসের চাপায় মা–ছেলে নিহত
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় একটি বাস একটি মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয়। এতে মাহিন্দ্রার দুই যাত্রী মা ও ছেলে নিহত এবং আরও ৯ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের মাহিলাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাসচালককে আটক করেছে।
মারা যাওয়া দুজন হলেন আগৈলঝাড়া উপজেলার দত্তেরাবাদ গ্রামের আজম মৃধার স্ত্রী সুমা আক্তার (৫০) ও তাঁর ছেলে আজমাইন মৃধা (৪)। এ দুর্ঘটনায় আহত ৯ জনের মধ্যে ৭ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন মো. হাসান, মো. মাইনুল, ভক্তি রানী, নমিতা রানী দাস, বৈশাখী হালদার, মো. সুজন ও সজল খান। আহত ব্যক্তিরা গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার বাসিন্দা।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল জানান, আজ রোববার বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে যমুনা পরিবহনের একটি বাস। বেলা দেড়টার দিকে বাসটি গৌরনদীর মাহিলাড়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহিন্দ্রার যাত্রী সুমা আক্তার ও তাঁর ছেলে আজমাইন মৃধা মারা যান ও ৯ জন আহত হন। এ ঘটনায় বাসচালক পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার শান্তিবাগ গ্রামের শাহ আলম চকিদারের ছেলে রুবেল চকিদারকে (২৭) আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মাহিন্দ্রার যাত্রী নমিতা রানী জানান, গৌরনদী থেকে ১০–১১ জন যাত্রী নিয়ে মাহিন্দ্রাটি বাটাজোর যাচ্ছিল। পথে মাহিলাড়া এলাকায় পৌঁছালে যমুনা পরিবহনের বাসটি তাঁদের মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয়। এতে তাঁদের সঙ্গে থাকা দুই যাত্রী নিহত ও অপর ৯ যাত্রী আহত হন।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মা ও ছেলের লাশ হাসপাতালের বারান্দায় রাখা হয়েছে।