ভৈরবে নৌকাডুবি: আরও দুজনের লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আটজনের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তবে উদ্ধার করা লাশ দুটি এখনো তীরে আনা হয়নি। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ ছয়জন।
লাশ উদ্ধার হওয়া দুজন হলেন ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৬) ও তাঁদের সাত বছর বয়সী মেয়ে ইভা বেগম। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হলো। দুর্ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার সুবর্ণা আক্তার (২০) নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ভৈরব নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে। দুর্ঘটনাকবলিত নৌকাটির সন্ধান পাওয়া গেছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নৌকাটি তোলা হবে। ধারণা করা হচ্ছে নৌকাটি তোলা হলে আরও কয়েকটি লাশ পাওয়া যেতে পারে।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ভৈরবে মেঘনা নদীর পাশাপাশি থাকা তিনটি সেতু এলাকায় বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী একটি নৌকা ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ছয়জন নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়। তবে আজ সকালে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে আটজন নিখোঁজের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে আজ দুজনের লাশ উদ্ধার হওয়ায় এখনো নিখোঁজ ছয়জন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের নেতৃত্বে ডুবুরি দল আজ সকাল সোয়া আটটা থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। পরে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা অপর একটি ডুবুরি দল উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেঘনা নদীর ভৈরব এলাকায় পাশাপাশি দুটি রেল ও একটি সড়কসেতু আছে। তিনটি সেতু ঘিরে ভৈরব প্রান্তে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করেন। গতকাল বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে একটি নৌকায় ১৫ থেকে ১৮ জন দর্শনার্থী যাত্রা করেন। মাঝনদীতে যাওয়ার পর কয়েক যাত্রী মাঝিকে ছবি তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তখন তিনি বইঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় নৌকাটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড নৌকাটি ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে যায়।