কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা
ভুল কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দিতে পারেননি সামিয়া, মুঠোফোন ব্যবহার করে ধরা পড়েন নূর
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বাকৃবি) দেশের নয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা হয়। সামিয়া আক্তার নামের এক পরীক্ষার্থী সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে ভুলবশত বাকৃবি কেন্দ্রে চলে আসেন। আর বগুড়া থেকে আসা নূর মোহাম্মদ নামের এক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালে মুঠোফোন ব্যবহার করে ধরা পড়েন। পরে দুই পরীক্ষার্থীকেই পরীক্ষা দিতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
ভর্তি-ইচ্ছুক সামিয়া আক্তার বলেন, ‘ভুলবশত আমি প্রবেশপত্রে থাকা কেন্দ্রের নামটি ভালোভাবে খেয়াল করিনি। পরীক্ষা দিতে এসে দেখলাম, আমার পরীক্ষা কেন্দ্র সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বাকৃবি কেন্দ্রের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে আমি অনুরোধ জানাই, যাতে আমাকে এখানে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া তো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নির্দেশনা আছে যে এক কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী আরেক কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারবেন না। এখানে নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনোকিছু করার সুযোগ তাঁদের নেই।
এদিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি অনুষদের ২ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে পরীক্ষা চলাকালে মুঠোফোন ব্যবহার করার সময় ধরা পড়েন নূর মোহাম্মদ নামের এক পরীক্ষার্থী। ওই কক্ষের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর আগেই আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে তাঁদের মোবাইলগুলো নিয়ে নিই। ওই শিক্ষার্থীর কাছে দুটি মোবাইল ছিল। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরই দেখতে পাই, ওই শিক্ষার্থী মোবাইল বের করে কিছু একটা দেখার চেষ্টা করছেন। পরে তাঁর কাছে থেকে মোবাইলটি নিয়ে দেখা যায়, প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে ওই শিক্ষার্থী কাউকে পাঠিয়েছেন। বিষয়টি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে জানালে পরে তিনি ওই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেন।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, অপরাধ বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে ওই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে। যদি আরও বড় কোনো অপরাধের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।