বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন রইস আহম্মেদ ওরফে মান্না। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর অনুসারী দুই প্রার্থীর মনোনয়নও বাতিল করা হয়েছে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান খলিফা বলেন, ঋণখেলাপি, তথ্যে গরমিল ও সশরীর মনোনয়ন দাখিল না করায় তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। রইস সদ্য বিলুপ্ত নগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতের তিন সমর্থকের ওপর হামলায় ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি বর্তমানে কারাগারে। রইস ছাড়াও ওই ওয়ার্ডের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তাঁর অপর দুই সহযাগী মুন্না হাওলাদার ও ইমরান হোসেন। তাঁদের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে।
কারাগারে থাকা রইসের পক্ষে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে তাঁর বাবা আবদুল কাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
গত রোববার সন্ধ্যায় নগরের কাউনিয়া বাঁশবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহর তিন সমর্থক মনা আহম্মেদ, আবদুল হালিম ও মো. জাহিদকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তাঁদের বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রইস আহম্মেদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে অভিযোগে কাউনিয়া থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় রোববার মধ্যরাতে ১২ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন রাতে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। রইস বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত।