বিমানবন্দরের কর্মচারী খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির রিমান্ড

নিহত উসমান সিকদারছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অফিস সহকারী উসমান সিকদার খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিরা হলেন বিমানবন্দরের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের  নিরাপত্তাকর্মী বাদল মজুমদার ও তাঁর সহযোগী মো. আরিফ।

আজ মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দরের কর্মচারী খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দুজন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পতেঙ্গা থানা-পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহিম খলিল, বাদল মজুমদার ও আরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ইব্রাহিম খলিল আদালতে গত শুক্রবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে বলেন, বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি রিয়াল পাচার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে উসমানকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে খুন করা হয়।

বিমানবন্দরসংলগ্ন সরকারি কোয়ার্টারের বাসায় থাকতেন উসমান সিকদার। গত বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তাঁকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে বিমানবন্দরসংলগ্ন লিংক রোড থেকে উসমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ভাই এমরান সিকদার বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে গ্রেপ্তার দুই আসামি ইব্রাহিম খলিল, বাদল মজুমদার ও ফটিকছড়ির মো. রাসেল নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে ইব্রাহিম খলিল বলেন, ফটিকছড়ির মো. রাসেল নামের এক ব্যক্তি উসমান সিকদারের সঙ্গে ৩৭ হাজার রিয়াল শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পাচার করানোর চুক্তি করে। কিন্তু পরে উসমান রাসেলকে জানান, রিয়ালগুলো বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা তাঁর কাছ থেকে নিয়ে নিয়েছেন। রাসেলের কথামতো বিমানবন্দরের অভিবাসন পার হওয়া যাত্রীর হাতে তুলে দিতে পারেননি। বিমানবন্দরের সিভিল অ্যাভিয়েশনের ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহিম খলিলসহ অন্যরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। এদিকে রাসেল তাঁর রিয়ালের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তখন উসমান রিয়ালগুলো ভাগ-বাঁটোয়ারায় কারা কারা জড়িত তা বলে দেবেন বলে হুমকি দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যান বিমানবন্দরের জড়িত কর্মচারীরা। পরে তাঁরা বাসা থেকে তুলে নিয়ে উসমানকে খুন করেন।