অনুপ্রবেশের চেষ্টা মামলায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর জামিন

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে আজ মঙ্গলবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সিলেট আদালতে নেওয়া হয়ছবি: প্রথম আলো

ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে হওয়া মামলায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর (মানিক) জামিন মঞ্জুর করেছেন সিলেটের আদালত। আজ মঙ্গলবার সকালে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন। এর আগে তাঁর পক্ষে সরকার নিযুক্ত আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।

জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পুলিশ পরিদর্শক জমশেদ আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সিলেটে করা মামলায় জামিন পেলেও এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা থাকায় তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন

এর আগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজ সকাল সোয়া নয়টার দিকে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে আদালতে প্রাঙ্গণে আনা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মানবঢাল তৈরি করে তাঁকে এজলাসে তোলেন।

গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বিজিবি আটক করে। পরদিন সকালে তাঁকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সেদিন বিকেলে আদালতে হাজির করলে সিলেটের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা কয়েকজন তাঁকে বেধড়ক কিলঘুষি মারেন। কেউ কেউ শামসুদ্দিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে জখম করেন।

আরও পড়ুন

কারাগারের সূত্র জানায়, ২৪ আগস্ট বিকেলে আদালত থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে শহরতলির বাদাঘাট এলাকায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাঁকে ‘আনফিট’ উল্লেখ করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী শামসুদ্দিন চৌধুরীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁকে সার্জারি ওয়ার্ডের অধীনে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই তাঁর স্ক্রোটাল ইনজুরির (অণ্ডকোষে আঘাত) অস্ত্রোপচার হয়। এর পর থেকে হাসপাতালেই ছিলেন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর হার্টে সমস্যা আছে। ১০ বছর আগে তিনি বাইপাস করেছিলেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে। ১২ সেপ্টেম্বর তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।