শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগে উদ্বেগ জন্মাষ্টমী পরিষদের
সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ। এ ছাড়া ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করানোর ঘটনা বন্ধের দাবি জানানো হয়।
আজ শনিবার দুপুরে নগরের রহমতগঞ্জে পরিষদের প্রধান কার্যালয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি তুলে ধরা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সেন।
প্রবীর সেন বলেন, শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের আয়োজনে আগামী সোমবার চার দিনব্যাপী সনাতন ধর্মের প্রাণপুরুষ যুগাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি জন্মাষ্টমী উৎসব দেশব্যাপী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হবে। এবারের উৎসবের ব্যয় সীমিত করে দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য পাঁচ লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, অনাথ ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, গীতা পাঠ, সন্ধ্যারতি, জন্মাষ্টমী পূজা ও ভোগ, দেশ ও জাতির কল্যাণে সমবেত প্রার্থনা করা হবে। সোমবার সকাল ১০টায় বের করা হবে মহা শোভাযাত্রা।
প্রবীর কুমার সেন বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতনী সম্প্রদায়ের ওপর নির্বিচার হামলা ও তাদের বাড়িঘর, মঠ-মন্দির, উপাসনালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় সনাতনী সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন ও হতাশাগ্রস্ত। প্রাণ রক্ষায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরিষদের পক্ষে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে অসম্মান ও জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যেটি জাতির বিবেককে নাড়া দিচ্ছে। পরিষদ এসব অপরাধের তীব্র নিন্দা এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তপন কান্তি দাশ, চন্দন তালুকদার ও বিমল কান্তি দে, অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী, লীলারাজ গৌরদাস ব্রহ্মচারী, চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী, গদাধর দাস ব্রহ্মচারী, মুকন্দ ভক্তিদাস ব্রহ্মচারী, রাস বিহারী কৃষ্ণ চন্দ্র দাশ, লায়ন দুলাল চন্দ্র দে, চন্দন দাশ, কৃষ্ণ কান্তি দত্ত, আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, এস প্রকাশ পাল, শিপন কুমার দে প্রমুখ।