ভারতীয় আগ্রাসন বাংলাদেশকে অক্টোপাসের মতো আটকে ধরেছে: চরমোনাই পীর

সিলেটে ‘কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। রোববার বিকেলেছবি: প্রথম আলো

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন বাংলাদেশকে অক্টোপাসের মতো আটকে ধরেছে। সমৃদ্ধ কল্যাণরাষ্ট্র গঠন করতে হলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দেশ-বিদেশে এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে।

আজ রোববার বেলা তিনটায় সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ‘কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজাউল করিম এ কথাগুলো বলেন। জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা এ সভার আয়োজন করে।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আলেম-ওলামাদের দায়িত্ব বহুগুণ বেড়ে গেছে মন্তব্য করে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আলেম-ওলামাদের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। আমাদের মতাদর্শিক অবস্থান থেকে ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষ রাজনীতি, কৌশল গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। কল্যাণরাষ্ট্রই সব শ্রেণি-পেশা-ধর্মের মানুষের রাজনৈতিক, নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। দুর্নীতি, দুঃশাসন ও সন্ত্রাসমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সিলেট জেলার সভাপতি মাওলানা রেদওয়ানুল হক চৌধুরী। মহানগরের সভাপতি হাফিজ মাওলানা আসআদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফিজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার, তালিমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট ঢাকার পরিচালক মাওলানা লুতফুর রহমান ফরায়েজি, ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মঈনুদ্দিন খান প্রমুখ।

মুফতি রেজাউল করিম আরও বলেন, কেউ কেউ ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ মানুষের ওপর সীমাহীন জুলুম করেছিল। যার কারণে তারা দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই দলমত জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে ইস্পাতকঠিন জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।