বৃষ্টি তেমন নেই। এরপরও নোয়াখালীর সেনবাগসহ কিছু এলাকায় গতকাল শনিবারও বেড়েছে বন্যার পানি। তবে নোয়াখালী সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে চাটখিল উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি। বন্যার মধ্যে এ পর্যন্ত জেলায় পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।
সেনবাগ উপজেলার গিরুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, সেনবাগে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি তেমন হয়নি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী জেলা ফেনী হয়ে উজানের পানি ধেয়ে আসছে। এ কারণে বৃষ্টি কমা সত্ত্বেও বন্যার পানি আরও ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বন্যার কারণে খুবই দুর্ভোগে রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ প্রথম আলোকে বলেন, সেনবাগের বন্যা পরিস্থিতি আগের দিনের তুলনায় অবনতি হয়েছে। ফেনী থেকে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
ইউএনও আরও বলেন, উপজেলার ১২৫টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে এরই মধ্যে প্রায় ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই বেলা খিচুড়ি রান্না করে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে এখানে শুকনা খাবারের তীব্র সংকট রয়েছে।
গতকাল সকালে সরেজমিনে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার গনিপুর, করিমপুর, একলাছপুর, লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাড়িতেই হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি। এর মধ্যেই বাসিন্দাদের অনেকে দুর্ভোগ সয়ে বসতঘরে অবস্থান করছেন।
চাটখিলের ইউএনও কাজী এহসান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, চাটখিলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সব কটি বন্যার পানিতে প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন প্রায় ৭ হাজার মানুষ। পানি নামছে না বরং পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জায়েদ হাসান খান প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন সেনবাগ এবং একজন সদর এলাকার বাসিন্দা।