রাজশাহীতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধে চাষিদের স্মারকলিপি

রাজশাহীর বাঘায় উৎপাদন মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবিতে চাষিদের স্মারকলিপি পেশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

এখন মুড়িকাটা পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। তবে এই সময় পেঁয়াজ আমদানির কারণে চাষিরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। এমনকি তাঁদের উৎপাদন খরচও উঠছে না। এই পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পেঁয়াজচাষিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে যে এ বছর বাঘা উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এবার মুড়িকাটা পেঁয়াজের বীজ অনেক উচ্চমূল্যে কৃষকেরা ক্রয় করে জমিতে বপন করেন। ফলে প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ হয় প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিঘাপ্রতি ৪০ থেকে ৬০ মণ ফলন হয়েছে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ৫৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা। এতে প্রতি বিঘা জমিতে কৃষকের লোকসান হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। পেঁয়াজ তোলার এটা ভরা মৌসুম। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা হলে কৃষকেরা বিরাট লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় বাঘা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের চাষি জাকির হোসেন, পলাশী ফতেপুর গ্রামের চাষি জাহাঙ্গীর হোসেন, লিটন আলী, বজলুর রহমান, পাকুড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম, সাবাজুল প্রামাণিক, সাইফুল ইসলাম, ফজলুল হক, কলিগ্রামের মহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ৪০ বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ করেছেন। বর্তমান বাজারমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হলে তিনি পথে বসে যাবেন। এমন হলে চাষিরা আগামী বছর আর পেঁয়াজ চাষ করবেন না। তাঁদের দাবি, ভরা মৌসুমে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করলে তাঁরা ন্যায্য দাম পেতে পারেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মী আক্তার বলেন, পেঁয়াজচাষিরা একটা স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই সময় পেঁয়াজ আমদানি করলে তাঁরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই তাঁরা এই সময় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের দাবি জানান। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপিটি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।