শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) আবাসিক হলে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হাফিজ উদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটির জন্য বেঁধে দেওয়া ৭২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। ২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয় ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। এরপর জরুরি রিজেন্ট বোর্ড গঠন করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী কোতোয়ালি থানায় আটজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। তদন্তে ওই মামলার এজাহারভুক্ত সবারই জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে। যদিও ওই আটজনের মধ্যে বেশির ভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন। তাঁরা যাতে আবাসিক হলে অবস্থান করতে না পারেন, এ জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৪ জুন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরীন রহমান প্রলয়কে (২৪) রাত দুইটার দিকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার কক্ষে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। শাহরীনকে রাতভর মারধরের পর তাঁকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন সোহেল রানা। পরবর্তী সময়ে এ ঘটনা চেপে যেতে শাহরীনের গ্রামের বাড়িতে বোমা মারা হবে জানিয়ে তাঁর মাকে মুঠোফোনে অজ্ঞাতনামা একজন হুমকি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ আটজনের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।