আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আমতলীর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে আমতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেলিম রেজা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) মো. আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বরগুনার আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর আমতলী পৌর শহরের নিজের (মেয়র মতিয়ারের) বাসার সামনে যুবলীগের বর্ধিত সভায় কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ছরোয়ার ফোরকানকে উদ্দেশ করে কটূক্তিমূলক বক্তব্য এবং সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন মেয়র মতিয়ার রহমান। তাঁর এমন বক্তব্যের পর আমতলী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য বরগুনা-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিকে দায়িত্ব দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তদন্তে সত্যতা পেয়ে ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠায় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
এতে বলা হয়, মতিয়ার রহমান জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার পূর্বানুমতি না নিয়ে বর্ধিত সভা করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষের সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ছরোয়ার ওরফে ফোরকান (কাঁচি), গোলাম সরোয়ার ওরফে টুকু (ঈগল) ও খলিলুর রহমানকে (ট্রাক) উদ্দেশ করে উসকানি, হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনমূলক বক্তব্য দেন। এ ছাড়া ভোটারদের হুমকি–ধমকি দেন মেয়র মতিয়ার। এ ঘটনায় মেয়র মতিয়ারের বিরুদ্ধ আমলযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয় ইসি। এরপর আজ আমতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসার সেলিম রেজা বাদী হয়ে আমতলী থানায় মামলা করেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, চিঠির আদেশ অনুযায়ী মেয়র মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। থানা কর্তৃপক্ষ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়র মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।