নরসিংদীতে যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তরুণ নিহত
নরসিংদীর মাধবদী উপজেলায় যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকিব হোসেন (২৫) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে মাধবদীর ভগীরথপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় দুই বাসের অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
নিহত রাকিব হোসেন নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের বাগহাটা এলাকার গুলজার মিয়ার ছেলে। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চারজন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁরা হলেন—মো. সাইদ মিয়া (৩০), রানা মিয়া (২৫), আসাদ মিয়া (৩৪) ও অপু মিয়া (১৩)। আহত অন্য ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
হাইওয়ে পুলিশ ও হতাহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে কিশোরগঞ্জগামী একটি বাসে চড়ে তাঁরা রওনা দেন। বাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদীর ভগীরথপুর এলাকার মুক্তাদির ডাইংয়ের সামনে পৌঁছানোর পর বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী আরেকটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাস দুটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। আহত হন অন্তত ১১ জন। বাসের অন্য যাত্রীরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠান। নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান রাকিব হোসেন। জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ইটাখোলা হাইওয়ে ফাঁড়ির উপপরিদর্শক কবির হোসেন ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি জব্দ করেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, রাকিব হোসেন নামের একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ উপপরিদর্শক কবির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তরের জন্য আবেদন করেছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি জব্দ করে ফাঁড়িতে এনে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।