শ্রীনগরে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জেলে গ্রেপ্তার
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সুজন দাস (৬০) নামের এক জেলেকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ব্যক্তিকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ঘটনায় সুজন দাসের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় শিশুটির মা গতকাল দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন। ওই মামলায় রাতেই সুজন দাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। পিটুনিতে আহত হওয়ায় সুজন দাসকে বর্তমানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার সুজন দাস ভ্রাম্যমাণ জেলে। তিনি গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা। মাছ ধরার পাশাপাশি তিনি তান্ত্রিকতা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে শিশুটি বাড়ির বাইরে খেলাধুলা করছিল। গ্রামের পুকুরে মাছ ধরার কাজ করছিলেন সুজন দাস। পুকুরের পাশেই সুজন দাসের ভ্রাম্যমাণ একটি ডেরা ছিল। রাত আটটার দিকে ওই শিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ডেরায় নিয়ে যান সুজন দাস। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ডেরার সামনে গেলে ঘটনাটি দেখতে পান। পরে সুজন দাসকে আটক করে পিটুনি দেন। সেই সঙ্গে পুলিশকেও খবর দেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে সুজন দাসকে মঙ্গলবার রাতেই আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ। ওই জেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা। মারধরে সুজন দাস অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা বলেন, ‘চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে বাসা থেকে তাঁর শিশু মেয়েকে মাছ ধরা দেখতে নিয়ে যায় সুজন। এ সময় পুকুরপাড়ে মাছ ধরার ডেরায় ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। আমার বাচ্চা মেয়েটা ভয়ে এখনো আতঙ্কে আছে। আমি সুজন দাসের বিচার চাই।’