অষ্টগ্রামে মহিষ চোর সন্দেহে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে মহিষ চোর সন্দেহে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার দেওঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা নাসির মিয়া (৩০) ও শাহজাহান মিয়া (৩৫)। হাওরের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই দুই ব্যক্তি আজ ভোরে লুড্ডা নদী দিয়ে নৌকাযোগে একটি মহিষ ‘চুরি’ করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় গ্রামবাসী তাঁদের আটক করেন। সকালে চোর ধরার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ লোকজনের পিটুনিতে মারা যান তাঁরা।
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সহজ খাদ্যের জোগান থাকায় হাওরে ব্যাপকভাবে গরু ও মহিষ পালন করা হয়। সম্প্রতি প্রতি রাতে হাওরের সর্বত্র গবাদিপশু চুরির ঘটনা ঘটছে। চোর দল রাতে নৌকায় এসে মাঠ থেকে গরু ও মহিষ চুরি করে নিয়ে যায়। রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করেও চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। এক মাসে দেওঘর ইউনিয়ন থেকে প্রায় অর্ধশত গবাদিপশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছিলেন না গ্রামবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ অবস্থায় আজ ভোরে লুড্ডা নদীতে কিছু লোককে নৌকাযোগে একটি মহিষ ‘চুরি করে’ নিয়ে যেতে দেখেন গ্রামবাসী। পরে তাঁরা ঘেরাও করে দুজনকে ধরে দেওঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেঁধে রাখেন। সকালে চোর ধরার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তখন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী এসে বিদ্যালয়ের ফটক ভেঙে দুজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, জনতা নাসির ও শাহজাহান নামের দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। মহিষ চুরির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন তাঁদের ওপর চড়াও হয়। লাশ পুলিশের কাছে আছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।