ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়াম লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহম্মদ শাহজাহান ওমরের (বীর উত্তম) সঙ্গে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর বরিশাল শহরের বগুড়া রোডের বাসভবনে এক বৈঠকে এ সমঝোতা হয়।
ওই বৈঠকে দুই উপজেলা (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ দলীয় নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান বলেন, ‘আমাদের সবার নেতা ও অভিভাবক আমির হোসেন আমুর আহ্বানে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী শাহজাহান ওমরকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে কাজ করার বিষয়ে সবাই সহমত পোষণ করেছি।’
বৈঠকের শুরুতে শাহজাহান ওমরের সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন আমির হোসেন আমু। পরে শাহজাহান ওমর সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। বৈঠকে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইচ এম খায়রুল আলম সরফরাজ, সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান, রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান, কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হক, রাজাপুর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তারসহ দুই উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানরা, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকাকে বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করার সহমত পোষণ করেন।
সভায় আমির হোসেন আমু বলেন, শাহজাহান ওমর নৌকার মনোনীত প্রার্থী। তাই আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা–কর্মী সব বিবাদ ভুলে নৌকার পক্ষে কাজ করবেন।
শাহজাহান ওমর বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে দলকে অলংকৃত করেছি। তাই সবার উচিত আমার নির্বাচনে সহায়তা করা।’
এর আগে ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের পক্ষে নির্বাচনে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে ১৮ ডিসেম্বর রাতে দলের সাধারণ সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়। রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সব সদস্যের সই আছে ওই সিদ্ধান্তে।
সাধারণ সভার বিবরণীতে উল্লেখ আছে, শাহজাহান ওমর এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মী ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তিনি বিএনপির নেতা থাকার সময় যে ভবনে বসতেন, সেটিকে নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন। স্বাধীনতাবিরোধী ও তাঁদের সন্তানদের নিয়ে তিনি গণসংযোগ করেছেন। বিএনপির নেতা হিসেবে সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছেন। তাই দলীয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামানের পক্ষে দলের সবাই কাজ করবেন।