কুলিয়ারচরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় গত ৩১ অক্টোবর বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় দলটির আরও চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে তিনজন ও কুলিয়ারচরের গ্রামের বাড়ি থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, কুলিয়ারচর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আজহার উদ্দিন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসলেউদ্দিন রতন ও বিএনপি কর্মী মো. আল আমিন।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মস্তুফা বলেন, ‘গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে আল আমিন ছাড়া অপর তিনজন আমাদের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। চারজনকেই আমাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ করাগারে পাঠানো হয়।’
এর আগে ৪ নভেম্বর একই মামলায় ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির উপসাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ অঞ্চল) ও জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম। শরিফুল আলম পুলিশের করা তিনটি মামলার মধ্যে দুটির প্রধান আসামি। আজহার উদ্দিন ২ নম্বর আসামি।
পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর অবরোধের প্রথম দিনে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির একটি মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এতে থানার ওসিসহ পুলিশের ১৫ সদস্য আহত হন। ওই ঘটনার সূত্র ধরে পুলিশ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে সোয়া নয়টা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ছয়সূতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি রিফাত উল্লাহ ও একই ইউনিয়নের কৃষক দলের সভাপতি বিল্লাল মিয়া।
ঘটনার পর বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পুলিশের ছোড়া গুলিতে মারা যান রিফাত ও বিল্লাল। আবার পুলিশ বলছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেও কাদের গুলিতে মারা গেছে—তা নিশ্চিত নয়। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত মামলা করা হয়নি। মামলা না করার বিষয়ে দুই পরিবারের ভাষ্য, এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পুলিশ। মামলা হতে হবে পুলিশের বিরুদ্ধে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশের কাছে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার সুযোগ নেই। তবে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা এবং নাশকতার অভিযোগ এনে পুলিশ তিনটি মামলা করেছে। এসব মামলায় আসামি সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির ৯ জনকে।