২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে মারামারি, হাসপাতালে দুই ছাত্র

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের গেমস রুমে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতের এই ঘটনায় দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তাঁরা হলেন ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরিফুল ইসলাম ও ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শেখ উৎস। এর মধ্যে আরিফুল মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উৎস ছাত্রলীগের কর্মী। তাঁরা দুজনই মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

মতিহার হল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে মতিহার হলের গেমস রুমে ফাইনান্স বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেনসহ কয়েকজন ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। এমন সময় আরিফুলের সঙ্গে রিফাতের কথা-কাটাকাটি হয়। আরিফুলও সেখানে খেলছিলেন। এরপর আরিফুল লাঠিসোঁটা এনে মারধর শুরু করেন। এ সময় ফাইনান্স বিভাগের শেখ উৎসকে চোখে ওপরে আঘাত করা হয়। পাল্টা আঘাত করা হয় আরিফুলকেও। পরে এই দুজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন আরিফুল আর শেখ উৎস ভর্তি আছেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে।

এ ঘটনার পর রাত নয়টার দিকে ইতিহাস ও ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে এসে জড়ো হন। দুই বিভাগের শিক্ষকেরা আসেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হন। মারামারির এই ঘটনা নিয়ে রাতে ছাত্রলীগ, শিক্ষক ও হল প্রশাসন আলোচনা করে। পরে বের হয়ে হল প্রাধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য মঙ্গলবার হল থেকে তদন্ত কমিটি করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, খেলাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি হয়। সেখান থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে। এটা ছাত্রলীগের কোনো বিষয় না। একজন ছাত্রলীগ নেতা, আরেকজন কর্মী। তাঁদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নিবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর জানা নেই তাঁরা ছাত্রলীগের কেউ কিনা। যদি ছাত্রলীগের হয়ে থাকে এবং তাঁরা যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে; তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এ ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি হল প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছেন। ছাত্রলীগকেও জানিয়েছেন। পরে এসে দেখেন বিষয়টা সমাধান হয়ে গেছে। প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করবে।