ফ্যাসিবাদীরা হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গা বাধানোর অনেক চেষ্টা করেছে: মিয়া গোলাম পরওয়ার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছয়জনের পরিবারের হাতে সহায়তার চেক তুলে দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলছবি: প্রথম আলো

যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, তারা হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গা বাধিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছে, তারাই সবচেয়ে বেশি হিন্দু নির্যাতন করেছে—বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ সোমবার সকালে গাইবান্ধার একটি হোটেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছয় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের সবাইকে একযোগে নতুন অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে হবে। ওরা আমাদের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল।’

হত্যাকারীদের বিচার প্রসঙ্গে সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘যারা গুলি চালিয়ে আমার দেশের ছাত্র হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেয়, তাদের বিচার করতেই হবে। আমরা এই নির্মম, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করে গণহত্যা চালিয়েছে, জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে, গুম করেছে দেশের মানুষকে, তাদের কোনো দিন ক্ষমা করবে না।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আবদুর রহিম সরকার ও বর্তমান জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জহুরুল হক সরকার, জেলা নায়েবে আমির মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়ারেছ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যরাও তাঁদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের অত্যাচারী শাসক শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ এই বাংলার মাটিতে স্বৈরাচারী হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এখন ভারতে বসে বাংলাদেশের মাটিতে রেখে যাওয়া দাসদের নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন শেখ হাসিনা। এই ষড়যন্ত্র আপামর জনতাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।

গাইবান্ধা শহরের হোটেল আর রহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখা এ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল করিম। অনুষ্ঠানে ছয়টি শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল।