চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

বিএনপি নেতা মো. আলম আলী
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের নবাবমোড় এলাকায় মো. আলম আলী (৫৫) নামের এক ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আলম আলী নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের সুন্দরপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ও একই ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি একই ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।

নিহত আলম আলীর ছোট ভাই বাবুল আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাই আলম আলী নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ি ফিরছিল। নবাব মোড়ের কাছে এলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা জেলা পরিষদের সদস্য আবদুস সালামের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন সন্ত্রাসী বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা আলম আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি দূর থেকে ঘটনা দেখেছি। কিন্তু ভয়ে ভাইকে বাঁচাতে কাছে যেতে পারিনি।’

বাবুল আলী অভিযোগ করেন, আলম আলীকে কুপিয়ে হত্যার সময় সেখানে নয়ালাভাঙ্গা ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আজিম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আমিনুল উপস্থিত ছিলেন। আমার ভাই ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। ইউপি নির্বাচনের সময় থেকেই রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার ভাইয়ের বিরোধ ছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালামের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়।

মো. আলম আলীর দলীয় পদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম।

আলম আলীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আবদুস সালামের মুঠোফোনে আজ রাতে কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থানীয় গ্রাম্য রাজনীতি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগ-বিএনপির দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেনি। ইউপি নির্বাচনের সময় আলম আলীর সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ইউপি সদস্য মো. আংগুরের দ্বন্দ্ব ছিল বলে শুনেছি। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি বলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’

শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল দেবনাথ ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, আলম আলীকে বেলা সোয়া একটার দিকে কোপানো হয়। স্থানীয় লোকজন আলম আলীকে বেলা আড়াইটার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।