চাঁদপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যের নাম ব্যবহার করে প্রচারণার অভিযোগ

চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করছেন সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির। রোববার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আইয়ুব আলী ব্যাপারীর বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে প্রচারণা ও সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির। আজ রোববার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

হুমায়ুন কবিরের অভিযোগ, আইয়ুব আলী সংসদ সদস্যের নাম ও পৌরসভার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে প্রচারণা এবং ভোটারদের চাপ প্রয়োগ করাসহ কর্মী–সমর্থকদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। তবে আইয়ুব আলী সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

লিখিত বক্তব্যে হুমায়ুন কবির বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর তাঁর প্রতি উপজেলাবাসীর উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেখে প্রতিপক্ষ প্রার্থী প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাঁর কর্মী–সমর্থকদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আইয়ুব আলী ব্যাপারী স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ও পদমর্যাদা ব্যবহার করে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর কাছে নানা কিছু পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছেন।

হুমায়ুন কবির অভিযোগ করে বলেন, মনোয়নপত্র দাখিল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত চাঁদপুর পৌরসভার কদমতলায় মন্ত্রীর বাসভবনকে নির্বাচন পরিচালনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহার করছেন দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী। সেই সঙ্গে পৌর মেয়র আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রকাশ্যে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে আইয়ুব আলী ব্যাপারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আগে সংবাদ সম্মেলন করে আমার আশঙ্কার কথা বলেছি। কোথায় বাধা আছে, সেটাও উল্লেখ করেছি। প্রতিপক্ষ প্রার্থী হুমায়ুন কবির আমার বিজয় নিশ্চিত দেখে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন, যা আদৌ সঠিক নয়। ২১ তারিখের নির্বাচনে সেটা প্রমাণিত হবে।’

গত মঙ্গলবার চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আইয়ুব আলী। ওই দিন তিনি কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি, পোস্টার-ব্যানার ছেড়া ও সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ করেছিলেন। এসব বিষয়ে দুই প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগও করেন। নির্বাচন কমিশন থেকে দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বশির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সব অভিযোগই পেয়েছি। এসব অভিযোগের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’